
বাংলা রিডার ডেস্ক
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরতে নেমেছেন চাঁদপুরের শত শত জেলে। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর থেকেই সদর উপজেলার হরিণা মাছঘাটে জেলেদের ব্যস্ততা দেখা যায়। ঘাটে ইলিশ বিক্রি শুরু হলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ না পেয়ে জেলেদের মুখে হতাশা।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নেমেও প্রত্যাশিত ইলিশ মিলছে না। অনেকে ধারদেনা করে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু ধরা মাছ বিক্রির পর খরচ তুলতেই কষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের জেলে মিজানুর রহমান বলেন, “ইলিশ ধরাই আমার জীবিকা। কিন্তু এখন মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। খরচ বাদ দিলে হাতে কিছুই থাকছে না।”
আরেক জেলে হুমায়ুন ঢালি জানান, “পাঁচজন মিলে রাতভর মাছ ধরেছি, কিন্তু ভাগে পড়েছে মাত্র দুই-তিন শ টাকা।”
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশের জোগান কম হলেও বাজারে দাম তেমন বাড়েনি। ফরিদগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা সাইফুর রহমান বলেন, “মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দাম আগের মতোই রয়েছে।”
হরিণা ঘাটের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, মাঝারি সাইজের ইলিশ (৮০০-৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২,০০০ থেকে ২,২০০ টাকায়। এক হালি ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। বড় সাইজের পাঙ্গাস মিলছে প্রতি কেজি সাড়ে ৮০০ টাকায়।
প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম কালু হাওলাদার বলেন, “নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও এখনো নদীতে তেমন ইলিশ দেখা যাচ্ছে না। তবে পরের কয়েকদিনেই বোঝা যাবে, মাছ ধরা আসলেই বেড়েছে কি না।”



