স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দাবিতে চাঁদপুরে সরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন

বাংলা রিডার ডেস্ক
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ, চারস্তরীয় পদোন্নতি কাঠামো বাস্তবায়ন এবং স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে চাঁদপুরে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা। বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টায় চাঁদপুর শহরের অঙ্গীকার পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলার সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে অংশ নেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সঞ্চালনায় ছিলেন বাসমাশিস কুমিল্লা অঞ্চলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান।
শিক্ষকরা বলেন, ১৯৭৩ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টরসহ অনেক পদের কর্মকর্তা এক সার্কুলারে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও, সময়ের ব্যবধানে অন্যসব বিভাগের কর্মকর্তা এন্ট্রি পদে নবম বা তার ওপরে উন্নীত হয়েছেন, অথচ মাধ্যমিক শিক্ষকদের অবস্থান অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে।

তারা জানান, বর্তমানে দেশে প্রায় ২৫,০০০ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নেই কোনো স্বতন্ত্র অধিদপ্তর। অথচ মাত্র ৬,০০০ মাদ্রাসা এবং ১,৮০০ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক অধিদপ্তর রয়েছে। ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বিভাজনের সুপারিশ ছিল।

পদোন্নতির বঞ্চনার প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, কলেজ শিক্ষকদের মত চারস্তরীয় পদসোপান না থাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘ চাকরি করেও অবশেষে পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যাচ্ছেন।

শিক্ষকদের প্রধান দাবি: এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডে উন্নীত করা, কলেজের মতো চারস্তরীয় পদোন্নতির সুযোগ, স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেডসহ ন্যায্য সুবিধা নিশ্চিত করা, সিনিয়র শিক্ষকদের প্রশাসনিক পদে পদায়ন।

মানববন্ধনে মাতৃপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টা এবং শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টার কাছে এই দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

Recommended For You