
বাংলা রিডার ডেস্ক
বাংলাদেশ সরকার চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার মধ্যে মেঘনা নদীর ওপর একটি ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা দেশের বৃহত্তম সেতু হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কাছ থেকে ৩৩ হাজার ৪২৩ কোটি টাকার (৩১০ কোটি মার্কিন ডলার) অর্থায়ন চাওয়া হয়েছে এই প্রকল্পসহ আরও একটি বড় সেতুর জন্য।
সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সরাসরি যুক্ত হবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলার সঙ্গে। এতে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার কমে আসবে এবং ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। পাশাপাশি, অনির্ভরযোগ্য ফেরি পারাপারের বিকল্প তৈরি হবে।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৫ জুন প্রাথমিক প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে এবং ৪ আগস্ট পিপিপি কাঠামোর পর্যালোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, সেতুটি চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট থেকে শুরু হয়ে শরীয়তপুরের সখিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। প্রকল্পটি ২০৩২ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ (Economic Development Cooperation Fund) ও জাপান সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইডিসিএফের সুদ হার মাত্র ০.০১ থেকে ০.০৫ শতাংশ এবং পরিশোধের মেয়াদ ৪০ বছর, তবে শর্ত রয়েছে যে কাজটি কোরিয়ান ঠিকাদারদের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মুহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, “শরীয়তপুর-চাঁদপুর সেতু প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি জাপানকেও অনুরোধ করা হয়েছে ঋণ প্রদানে। সম্ভাব্য যৌথ অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে।”
বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশন প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে এবং বিস্তারিত নকশা চূড়ান্ত হলে ব্যয় কিছুটা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।