
বাংলা রিডার ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক বটতলায় এক শপথ পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ’ প্যানেল। রোববার দুপুর ১টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় এ আয়োজন।
শপথ পাঠ করান প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শপথপাঠে প্যানেলের প্রার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিচের আটটি মূল প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন: ১.গণরুম প্রথা, গেস্টরুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর দমন-পীড়নের সংস্কৃতি আর কখনো ফিরতে দেওয়া হবে না। ২. ‘৯০-র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ—সবকিছুর ঐতিহ্য ধারণ করে ভবিষ্যতেও গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার অঙ্গীকার। ৩. ঢাবিকে নারীবান্ধব, সুরক্ষিত ও সমঅধিকারভিত্তিক ক্যাম্পাসে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্ষমতায়নের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের জন্য বৈধ সিট নিশ্চিতকরণ, সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সহজ যাতায়াতের পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ৫. সাইবার বুলিং, ভুয়া তথ্য ছড়ানো এবং অনলাইনভিত্তিক অপতৎপরতা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। ৬. শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা হবে। ৭. ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাঝে সৌজন্য, শিষ্টাচার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে গণতান্ত্রিক আচরণের দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রতিশ্রুতি। ৮. প্যানেলের প্রতিটি সদস্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে কাজ করবেন।
শপথ পাঠ শেষে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান—এই ৮ দফা বাস্তবায়নে তাদের প্যানেলকে জয়যুক্ত করে একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে সহযোগিতা করতে।
ছাত্রদল প্যানেল তাদের প্রতিশ্রুতি নয়, কার্যকর পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত, আধুনিক ও মানবিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনে লড়ছে।