
রিডার::দিল্লী
১১ বছর ধরে মোট ১১টি ডায়েরিতে নোট নেওয়ার পর ওই নোটের নির্দেশনা অনুযায়ী ভারতের রাজধানী দিল্লীর ভাটিয়া পরিবারের ১১ জন সদস্য স্বেচ্ছায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মাহুতি দিয়েছেন।
গত ১ জুলাই দিল্লির বুরারি এলাকার ভাটিয়া পরিবারের ১১ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনাটি এমনই ছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসছে। সিসিটিভির ফুটেজেও পরিবারটির এই স্বেচ্ছামৃত্যুর আয়োজনের পারিপার্শ্বিক চিত্র প্রকাশিত হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়।
ইন্ডিয়া টুডে বলছে — রাতে আত্মহত্যার আগে পরিবারটির দুই নারী সদস্য টুল, দড়ি যোগাড় করছিল এবং রুটি সরবরাহের আদেশ দিয়েছিল। ওই ঘটনার সাথে বাইরের কারো কোনো ভূমিকা নেই। সিসিটিভির ফুটেজ ও ১১টি ডায়েরির নোটে তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে।

সিসিটিভির ফুটেজ:: আত্মহত্যার আগে ভাটিয়া পরিবারের দুই সদস্য টুল নিয়ে যাচ্ছেন
তবে ডায়েরির নোটগুলো থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যা থেকে মনে করা হচ্ছে, পরিবারটির বিশ্বাস ছিল এই আধ্যাত্মিক ফাঁসিতে ঝুললেও তারা মারা যাবেন না, বরং আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন!
সিসিটিভির ফুটেজে ওই রাতে ওই পরিবারটির বড় পুত্রবধুকে কয়েকটি টুল নিয়ে আসতে এবং পরিবারটির দুই কিশোরকে দড়ি নিয়ে আসতে দেখা গেছে, যেগুলো ওই গণআত্মহত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই পরিবারের সব সদস্য রাত প্রায় ১টার দিকে ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছেন বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাড়ির হলওয়ের ছাদে লাগানো গ্রিলে তাদের ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

সিসিটিভিতে ললিত ভাট:: ধারণা করা হচ্ছে এই পুরো গণহত্যার পেছনে তাঁর ‘মস্তিষ্ক’ প্রধান ভুমিকা পালন করেছে।তিনি প্রায় তার ‘মৃত বাবার’ সঙ্গে কথা বলতেন।
এর আগে ময়নাতদন্তের বিস্তারিত এবং ওই বাড়িটি থেকে পাওয়া হাতে লেখা একগুচ্ছ নোট একসঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করে পুলিশ জানিয়েছিল, ৭৭ বছর বয়সী নারায়ণ দেবীর ছেলে ললিত ভাটিয়া এই মৃত্যুর পেছনে ‘মস্তিষ্ক’ হিসেবে কাজ করেছে।
ওই বাড়ি থেকে পুলিশের উদ্ধার করা দুটি ঢাউস নোট খাতা থেকে পাওয়া তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারটির কিছু সদস্য অন্যদের ফাঁসিতে ঝুলে পড়তে সহায়তা করেছেন।
নোট খাতার লেখা বর্ণনার সঙ্গে তাদের যে অবস্থায় পাওয়া গেছে তা খাপ খেয়ে যায়, মুখমন্ডল প্রায় সম্পূর্ণ মোড়ানো অবস্থায় ঢাকা, টেপ লাগিয়ে মুখ বন্ধ করা এবং হাত পিছমোড়া করে বাঁধা।

এই সিলিং এ ঝুলেই আত্মহত্যা করেছিলেন ১০ জন, তাদের ধারণা ছিল তারা বেঁচে যাবেন এবং শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন
নোটে লেখা ছিল, ‘প্রত্যেকে তাদের নিজেদের হাত বাঁধবে এবং ক্রিয়া যখন শেষ হবে হাত বাঁধন মুক্ত করতে প্রত্যেকে প্রত্যেককে সাহায্য করবে।’
৪৫ বছর বয়সী ললিত ভাটিয়া ১০ বছর আগে মারা যাওয়া তার বাবা গোপালদাসকে ‘দৈব প্রত্যক্ষণ’ (হ্যালুসিনেশন) করতেন।
ললিত বিশ্বাস করতেন তার বাবা তাদের পুরো পরিবারকে পরিত্রাণের পথে নিয়ে যেতে চান এবং ২০১৫ সাল থেকে ওই বিষয়ে নির্দেশনা লিখে আসছেন।
এই আত্মহত্যার ঘটনায় কোনো ধর্মীয় গুরুর ভূমিকা অস্বীকার করেছে পুলিশ। কয়েকটি প্রতিবেদনে কোনো ধর্মীয় গুরুর ভূমিকা ছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।
এই মুহুর্তে পড়া হচ্ছে
গুজবে কান দিয়ে রংপুরের যে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই শহিদুন্নবী জুয়েল আদতে ধর্মভিরু... আরও পড়ুন
নভেম্বরের শুরুতেই নয়া প্রেসিডেন্ট পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাকযোগে আগাম ভোট শুরু হয়েছে চলতি মাসে। এরই... আরও পড়ুন
হাজী সেলিমপুত্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বহিস্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ... আরও পড়ুন
টানা দশ ঘণ্টা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বসে আলোচনার পর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির... আরও পড়ুন
হঠাৎ করে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে উদ্বিগ্ন আমজনতা। চলছে আন্দোলনও। দাবি উঠছে সর্বোচ্চ শাস্তি... আরও পড়ুন
প্রায় চার মাস বাদে পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান... আরও পড়ুন
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উন্মোচন করেছে... আরও পড়ুন
সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের পাঠানো একটি বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন ধ্বংস করেছে সৌদি এয়ার... আরও পড়ুন
করোনা আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশটির ঐতিহ্য অনুযায়ী নির্বাচনী বিতর্ক... আরও পড়ুন
পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের... আরও পড়ুন
মন্তব্য করুন